ঘুমানোর অভ্যাস ঠিকঠাক না হলে
নিজেকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে
নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর কারণে
ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনেও বিপর্যয়
নেমে আসতে পারে। মনোবিজ্ঞানীরা
বলছেন, এই সমস্যা ব্যক্তির দৈনন্দিন
জীবনের স্বতঃস্ফূর্ততা, কাজের ক্ষেত্রে
মনোযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের
ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের
মনোবিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক
গবেষণা থেকে দৈনন্দিন জীবনে
ব্যক্তির আচরণ এবং নিজেকে
নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতার সঙ্গে ঘুমের
যোগসূত্রের বিষয়টি উঠে এসেছে।
মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক জুন পিলশার
বলেন,‘আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রাত্যহিক
সিদ্ধান্ত গ্রহণের অংশ। আকাঙ্ক্ষা এবং
সুযোগের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে
নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়েই মানুষ
পরিস্থিতি সামলায়। গবেষণায় উঠে
এসেছে যে, ঘুমের অভ্যাস ও
আত্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়টি একে অন্যের
সঙ্গে যুক্ত এবং এই দুটোকে কাজে
লাগিয়ে প্রতিদিনের কাজকর্ম ঠিকঠাক
রাখা যায়।’
ঘুমের সমস্যা নানা স্বাস্থ্য সমস্যা
তৈরি করে। ঘুমাতে না পারা, একেক
দিন একেক সময়ে ঘুমানো, পর্যাপ্ত ঘুম
না হওয়ার মতো সমস্যাগুলো ওজন বেড়ে
যাওয়া এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত
হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলে উঠে এসেছে
নানা গবেষণায়। এ ছাড়া ঠিকঠাক ঘুম না
হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং
আশপাশের মানুষের প্রতি আচরণেও তার
প্রভাব পড়ে।
মনোবিজ্ঞানী পিলশার বলেন, ঘুমের
অভ্যাস ঠিক করতে পারলে সারা দিনের
কর্মশক্তি বাড়ে, আচরণ সাবলীল হয়,
কাজে মনোযোগ বেশি থাকে এবং
ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়। ফলে
প্রতিদিনের জীবনে নিজেকে
নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ঘুমের
অভ্যাস ঠিকঠাক করার বিষয়ে আমাদের
মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
Filled Under: জীবনযাপন
ঘুমের অভ্যাস আত্মনিয়ন্ত্রণের চাবি
Socialize It →
|
|
|